ঈদের ছুটির পর নমুনা পরীক্ষা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনই নতুন রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরো ১ হাজার ৪৫৭ জনের মধ্যে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৯৪ জন হয়েছে। আর করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ২৮৪ জন। অন্যদিকে নমুনা শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ
সরকারি হিসাবে মতে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরো ১ হাজার ৩৭৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২৭ হাজার ৫১০ জন।
ঈদের ছুটির প্রথম দুই দিনে নমুনা পরীক্ষা এক চতুর্থাংশে নেমে আসায় শনিবার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক ধাক্কায় নেমে এসেছিল ১৩ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩ হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৬১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল সেদিন।
পরদিন ৫ হাজার ৫০৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৬৩ জন এবং সোমবার ১০ হাজার ৩৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৯৮ জন এবং মঙ্গলবার ১৬ হাজার ৮৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ২৭২ জন রোগী শনাক্তের কথা জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বুধবার জানিয়েছে আগের দিন ২০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর তাতে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ফের দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা সাড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৬ কোটি ৫৫ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ লাখের বেশি মানুষের।
//ইয়াসিন//